জুলাই সনদকে আইনি ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে স্বাক্ষরের দেড় মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টন মোড়ে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জনগণের রায়ের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অভিমত প্রকাশ পায়। এই রায়ের ঊর্ধ্বে কোনো দলিল হতে পারে না। তাই জুলাই সনদ সইয়ের পর দেড় মাসের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন এনে জুলাই সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই, গণভোটের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হোক। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, তাদের প্রতিহত করে সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের শিথিলতা বা ছাড় দেওয়া যাবে না। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে, তবে সেই সঙ্গে প্রতিটি ভোটার যেন ভয়মুক্তভাবে ভোট দিতে পারে এবং প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারে—এই নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকেই দিতে হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. কাদের বলেন, “এখনও অনেক জায়গায় জোরজবরদস্তি চলছে। এই অবস্থায় নির্বাচন হলে জাতি তা মেনে নেবে না।”
ধর্মীয় শিক্ষার সংকট প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। গানের শিক্ষক নিয়োগে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও ধর্মীয় শিক্ষকের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি, যা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতি আর কোনোভাবেই পুরোনো ফ্যাসিবাদী রাজনীতি চায় না। আমাদের সংগ্রাম হলো গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে।”
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমেদ খন্দকার।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল ও ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ।
