গণঅভ্যুত্থানের সময় কারফিউ দিয়ে ছাত্র–জনতার বিরুদ্ধে হত্যার উসকানির অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তাঁদের পক্ষে এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চান। আদালত আগামী ১৭ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন। এরপর মনসুরুল হক চৌধুরী বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতির পাশাপাশি বার কাউন্সিলের অনুমতিও প্রয়োজন। প্রসিকিউশন এতে আপত্তি জানায়। আদালত আইনি ব্যাখ্যা শুনে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য সময় নেয়।
৪ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেয়। অভিযোগ অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় এ দুই ব্যক্তি ফোনালাপে কারফিউ চলাকালে আন্দোলনকারীদের ‘শেষ করে দেওয়া’ প্রয়োজন—এমন মন্তব্য করেন। প্রসিকিউশনের দাবি, তাঁদের ওই বক্তব্যের পর ১৯ জুলাইসহ বিভিন্ন সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র–জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ বক্তব্য হত্যাকাণ্ডে সরাসরি উসকানি হিসেবে কাজ করেছে এবং পরবর্তী ঘটনাগুলোতে তাঁদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
গত বছরের ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাঁরা কারাগারে আছেন।







