রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে রাজনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রেজিস্ট্রার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে টানা ২৩ দিন ধরে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য চেয়ারম্যান অপসারণের আদেশে স্বাক্ষর করে তা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান।
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার অভিযোগ করেন, ‘সেই কাগজটি রবিবার পর্যন্তও রেজিস্ট্রার দপ্তরে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি জানতে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ভিতরে মহানগর বিএনপির প্রোগ্রাম চলছে, পরে আসুন।’
এরপর সালাহউদ্দিন আম্মার ভিতরে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আচ্ছা এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দাপ্তরিক কাজের জন্য দেওয়া অফিস, নাকি বিএনপির দলীয় অফিস? এরা তো অন্তত অফিস টাইমে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে পারে। কেন সেখানে গিয়েও রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে হবে? যেটুকু সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে থাকে সেটাও তো যথেষ্ট না শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য।”
ঘটনার বিষয়ে রেজিস্ট্রারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের দপ্তরে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
