দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পুরো গাজা নিয়ন্ত্রণে নিতে নতুন অভিযান শুরু করেছে। আল জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, গাজা সিটির সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত আক্রমণের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। ভোর থেকে টানা হামলায় অনাহার ও বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকা হবে। সেই ঘোষণার পরই বড় ধরনের হামলা চালানো হলো। ইতোমধ্যে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক গাজা সিটির কেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গাজায় দুর্ভিক্ষও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বুধবার আরও তিনজন অনাহারে মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৯ জনে, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু।
দক্ষিণ গাজায় বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ইসরাইলি বোমা হামলায় তিনজন নিহত হন। এছাড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের জাতীয় দলের সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় মোহাম্মদ শালান। একইদিনে ত্রাণ আনতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
অবরোধ ও হামলার কারণে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গাজা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দেওয়ায় গাজাজুড়ে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত বেড়ে চলেছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটির প্রতি তিন শিশুর মধ্যে একজন বর্তমানে অপুষ্টিতে ভুগছে।