অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা ও বাংলাদেশে ভারতের এজেন্টদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদন এবং প্রচারণাকে “নির্লজ্জ মিথ্যাচার” বলে অভিহিত করেছেন। আজ (২২ আগস্ট ২০২৫) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানান এবং শর্তহীন ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান।
আযমী বলেন, ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ভারতের নির্দেশে তৎকালীন সরকারের হুকুমে তাকে বাসা থেকে অপহরণ করে প্রায় আট বছর “আয়নাঘর”-এ বন্দী করে রাখা হয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব এবং ৫ আগস্টে সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট রাতে তিনি মুক্তি পান। তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তির পর থেকেই আধিপত্যবাদী ভারত ও তাদের দেশি-বিদেশি এজেন্টরা পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
আযমীর বক্তব্য অনুযায়ী, আনন্দবাজার পত্রিকা এবং সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো সম্পূর্ণ “ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”। তিনি বলেন, এগুলো সেনাবাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করা এবং তার বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, তিনি কখনো কোনো দল গঠন করেননি কিংবা করার চিন্তাও করেননি। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনসার আল ইসলাম বা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগকে তিনি “পাগলের প্রলাপ” বলে উল্লেখ করেন। এ ধরনের মন্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আযমী আরও বলেন, তার প্রায় ত্রিশ বছরের সামরিক জীবনে দেশপ্রেম, পেশাগত দক্ষতা এবং মানবিক গুণাবলীর যে দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন, তা সেনাবাহিনীর প্রতিটি স্তরের কাছে সুপরিচিত। ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থানই তাকে টার্গেট করার কারণ বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সেনাসদর থেকেও প্রতিবাদ জানানো উচিত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আযমী তার বিবৃতির শেষে বলেন, “আমি খাঁটি বাংলাদেশি—আমার প্রতিটি রক্তবিন্দু দেশপ্রেমে ভরা। ভারতের শত্রুতামূলক নীতির বিরোধিতা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমি সত্যের পক্ষে কথা বলে যাব।”