ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন তানভীর বারী হামিম। নির্বাচনে তিনি ৫২৮৩ ভোট পান। ভোটের হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন হামিম।
নির্বাচন শেষে ফল প্রকাশের পরও ভোটের দিনের একটি ঘটনায় আলোচনায় হামিম।
সেদিন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন মোনামির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে ‘ফেস দ্য পিপল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেন শিক্ষক শেহরীন আমিন মোনামি ও তানভীর বারী হামিম। ওই ভিডিওটি নিজের ফেসবুকেও শেয়ার করেন হামিম।
সেই আলোচনায় শিক্ষকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন হামিম।
তিনি বলেন, ‘ম্যাম তখন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব ছিলেন। আমি তার সঙ্গে প্রশাসক হিসেবে কথা বলেছি, শিক্ষক হিসেবে নয়। তবুও তিনি আমার শিক্ষক। আমি ছাত্র হিসেবে তখন উত্তেজিত হয়ে এভাবে কথা বলাটা উচিৎ হয়নি। সেজন্য আমি নিজেই সব সময়ের জন্য সরি ফিল করেছি। এভাবে কথা বলাটা আমার ঠিক হয়নি, সবশেষে তিনি আমার শিক্ষক।’
ঘটনাটি শুধুামাত্র একটি বিষয়ের প্রতিক্রিয়া নয় বলেও জানান হামিম। তার ভাষ্য, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একাধিক অনিয়ম ও আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। সেসব বিষয়ে সামগ্রিকভাবে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। মোনামি ম্যামের বিরুদ্ধে এককভাবে কোনো পক্ষপাতের অভিযোগ করা হয়নি।
তানভীর বারী হামিম বলেন, ‘আমি তখন ম্যাডামের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি তিনি আমার শিক্ষক সেই হিসেবে নয়। আমি প্রতিবাদ করেছি তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। ম্যামের সঙ্গে আমার অত্যন্ত ভালো ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক। কিন্তু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে যেভাবে প্রতিবাদ করা উচিত আমি সেভাবে করেছি। আমার প্রতিবাদের ভাষা ঠিক ছিল কিন্তু সেখানে উত্তেজিত হয়ে বলেছি। এজন্য আমি নিজে নিজেই সবসময় কিন্তু সরি ফিল করেছি, আসলে এভাবে করাটা ঠিক হয়নি। কারণ সবকিছুর আগে তিনি আমার শিক্ষক।’
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক মোনামিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন কটূক্তি করা হচ্ছে। তাকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে হামিম বলেন, ‘সবার সামনে বলতে চাই, ম্যাম আপনাকে নিয়ে যারা আজেবাজে কথা লিখেছে তাদের কারো যদি সাংগঠনিক কোনো পরিচয় আছে—এমন প্রমাণ থাকে আমার কাছে দেন। আমি তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে আমি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।’