ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান আশিক তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। আশিক নিক্সনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী দাবি করেন, ভাঙ্গার জনগণের ন্যায্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণেই তাকে ‘এক নম্বর আসামি’ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকেও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
নিক্সনের ভাষ্য, ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি অবৈধভাবে কেটে নিয়ে সালথা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে শুধুমাত্র নৌকার ভোট কমানোর জন্য। তিনি বলেন, “আমি তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপি ছিলাম। ভাঙ্গার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন, অডিটোরিয়াম—এসবই হাসিনার উন্নয়ন ফান্ড থেকে এনেছিলাম। তবে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে আমি সমর্থন করি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে মামলা দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। ভাঙ্গার জনগণের স্বার্থে আমি একশ মামলাও মাথায় নিতে রাজি আছি। তবে নীরিহ মানুষকে হয়রানি করবেন না।”
ভিডিও বার্তার শেষ দিকে নিক্সন আলগী ইউনিয়ন পরিষদের আটক চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবি জানান এবং রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করার সমালোচনা করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দু’টি ইউনিয়ন ফেরত দিন, নয়তো জনগণের আন্দোলন চলবে।”
ভিডিওটি প্রকাশের পর উপজেলা বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি লোকমুখে জেনেছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চলমান আন্দোলন ইতোমধ্যেই সহিংস রূপ নিয়েছে এবং কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে।