বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আল্লাহর খাস রহমতে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির বিজয় লাভ করেছে। এ বিজয়ে অনেকেই অভিভূত হয়েছেন। এ নির্বাচনের প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে ইনশাআল্লাহ।
শনিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করেন, ভালোবাসেন এবং আমরা যাদের পছন্দ করি, ভালোবাসি তাদের নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে তিন’শ আসনে নির্বাচন করার আশা করি। সেই নির্বাচনে বিজয়লাভ করার লক্ষ্যে আর্থিক কোরবানিসহ সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অনেক আন্দোলন, ত্যাগ-কোরবানির বিনিময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেকে জীবন দিয়েছেন। অনেকে হাত, পা ও চক্ষু হারিয়েছেন। আমাদের সকলের ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের এক মহান বিজয় দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে সেই কোরবানির উপযুক্ত প্রতিদান দান করুন- এ দোয়াই করছি।
কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দীকার সভাপতিত্বে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ শীর্ষক’ বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। দারসুল কোরআন পেশ করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় কর্মপরিষদ সদস্যসহ সারাদেশ থেকে নির্বাচিত শূরা সদস্যরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ষান্মাসিক রিপোর্ট উপস্থাপনসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হয়।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পেয়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, অসুস্থতা ও সুস্থতা দু’টিই আল্লাহর নিয়ামত। আমাদেরকে আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া জানাতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অনেকে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং অনেকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের সুস্থতার জন্য আমরা দোয়া করছি। আমাদের সকলের কোরবানি আল্লাহ কবুল করে আমাদের সবাইকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের কাজ হলো দায়িত্ব পালন করা। ফল দেয়ার মালিক আল্লাহ তাআলা। আমাদের আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। অতি উৎসাহিত হয়ে কৃতিত্ব জাহির করা যাবে না। বিনয়ী হতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।